ধূলিঝড়
ঘরের ভিতর ধূলিঝড় ছাড়াও ধুলো জমতে থাকে - অব্যবহারে, অপব্যবহারে। পিয়ানোর সাদা-কালো কী-বোর্ডের উপর। বই-এর মলাটের উপর। বুক শেলফের উপর। টেবিলের উপর। দেওয়ালে টাঙানো, ভুলে যাওয়া, বহু আগেকার পুরনো ছবির উপর। আঙুলের ডগার উপর -স্থবির জীবনের উপর। ঘরের ভিতর তো আর বৃষ্টি হয় না। তাই সেই ধুলো ফেলে দেওয়া, ছিঁড়ে যাওয়া টুকরো কাপড় দিয়ে প্রতিদিন মুছতে হয়। তবু পরের দিনই ঠিক আগের সেই সাদা কালো জীবনের উপর আবার ধুলো জমে যায়।
অথচ যদি ঘরের জানালা খুলে দিই, আরো কিছু ধুলো বাইরে থেকে ঘরে আসলেও, কিছু ধুলো বাতাসে বাইরে উড়েও যাবে। সময়ের ফাঁকে একসময় তারা মাটি হ'য়ে যাবে। সে মাটিতে বৃষ্টি ঝরে পড়বে। সূর্য আলো দেবে। বাইরের পৃথিবীর বাতাস ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান শোনাবে।
মাটি হ'য়ে যাওয়া সে ধুলোয় টি-রোজ ফুটবে। টি-রোজ ঘরের ভিতর ফোটে না। বাইরের পৃথিবীর গোলাপ কেটে আমরা তাকে শুধু ঘরে জলে রাখতে পারি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন