ধূলিঝড়

ঘরের ভিতর ধূলিঝড় ছাড়াও ধুলো জমতে থাকে - অব্যবহারে, অপব্যবহারে। পিয়ানোর সাদা-কালো কী-বোর্ডের উপর। বই-এর মলাটের উপর। বুক শেলফের উপর। টেবিলের উপর। দেওয়ালে টাঙানো, ভুলে যাওয়া, বহু আগেকার পুরনো ছবির উপর। আঙুলের ডগার উপর -স্থবির জীবনের উপর। ঘরের ভিতর তো আর বৃষ্টি হয় না। তাই সেই ধুলো ফেলে দেওয়া, ছিঁড়ে যাওয়া টুকরো কাপড় দিয়ে প্রতিদিন মুছতে হয়। তবু পরের দিনই ঠিক আগের সেই সাদা কালো জীবনের উপর আবার ধুলো জমে যায়। 

অথচ যদি ঘরের জানালা খুলে দিই, আরো কিছু ধুলো বাইরে থেকে ঘরে আসলেও, কিছু ধুলো বাতাসে বাইরে উড়েও যাবে। সময়ের ফাঁকে একসময় তারা মাটি হ'য়ে যাবে। সে মাটিতে বৃষ্টি ঝরে পড়বে। সূর্য  আলো দেবে। বাইরের পৃথিবীর বাতাস ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান শোনাবে। 

মাটি হ'য়ে যাওয়া সে ধুলোয় টি-রোজ ফুটবে। টি-রোজ ঘরের ভিতর ফোটে না। বাইরের পৃথিবীর গোলাপ কেটে আমরা তাকে শুধু ঘরে জলে রাখতে পারি।



মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ


কল্যাণী রমা-র জন্ম ঢাকায়। ছেলেবেলা কেটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভারতের খড়গপুর আই আই টি থেকে ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ বি টেক করেছেন । এখন আমেরিকার উইস্কনসিনে থাকেন। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিনিয়র ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাজ করছেন ম্যাডিসনে।
প্রকাশিত বইঃ
আমার ঘরোয়া গল্প;
হাতের পাতায় গল্পগুলো ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা;
রাত বৃষ্টি বুনোহাঁস অ্যান সেক্সটন, সিলভিয়া প্লাথ, মেরি অলিভারের কবিতা;
মরণ হতে জাগি হেনরিক ইবসেনের নাটক;
রেশমগুটি;
জলরঙ;
দমবন্ধ।