শেষ বাগান

গাছের কষ্ট কিছু মানুষ বোঝে। সকলে বোঝে না। 

মেয়েটির বাগানে এ বছর অনেক ফুল। জারবেরা গাছটা প্রতি বছর বরফের আগে টেনে টেনে ঘরে নিয়ে গেছে ও। বহু বছর পর গাছ ঝেঁপে ফুল এসেছে। সুইট পি প্রতি বছর লাগায় ও। কিন্তু জানিনা কেন গত তেইশ বছরে কোনদিন ফুল ফোটেনি ওর গাছে। এ বছর জাম রঙের সুইট পি ফুটেছে। কী আশ্চর্য সে রঙ! নেদারল্যান্ড থেকে ও ট্রি লিলির বালব এনেছিল। পাঁচ ফুট গাছে সাদা আর হলুদ মিশেলে লিলি ফুটে আছে। কোথা থেকে এক মধুমঞ্জরী জোগাড় করেছিল। বরফের দেশে সে গাছেও কলি এসেছে। 

মেয়েটি হেঁটে চলে যাচ্ছে। ওর গাছে জল দেওয়ার কেউ নেই। প্রেতাত্মাদের নিয়ে চারপাশে মৃত গাছের কবর। 

এ বাগানটি ছিল মেয়েটির শেষ বাগান।



মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ


কল্যাণী রমা-র জন্ম ঢাকায়। ছেলেবেলা কেটেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ভারতের খড়গপুর আই আই টি থেকে ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমুনিকেশন ইঞ্জিনীয়ারিং-এ বি টেক করেছেন । এখন আমেরিকার উইস্কনসিনে থাকেন। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সিনিয়র ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাজ করছেন ম্যাডিসনে।
প্রকাশিত বইঃ
আমার ঘরোয়া গল্প;
হাতের পাতায় গল্পগুলো ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা;
রাত বৃষ্টি বুনোহাঁস অ্যান সেক্সটন, সিলভিয়া প্লাথ, মেরি অলিভারের কবিতা;
মরণ হতে জাগি হেনরিক ইবসেনের নাটক;
রেশমগুটি;
জলরঙ;
দমবন্ধ।